খুলনা, বাংলাদেশ | ২ মাঘ, ১৪৩১ | ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  শুধু ওয়াদা নয়, ন্যায্য স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় জামায়াতের রাজনীতি : ডা. শফিকুর
  ১৭ বছর পর কারামুক্ত হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফু্জ্জামান বাবর
  দেশে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) আক্রান্ত নারীর মৃত্যু

ডা. ফয়েজ হত্যা : ট্রাইব্যুনালে হাসিনাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

গেজেট ডেস্ক

লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. ফয়েজ আহমদকে নিজ বাসায় গুলি করে হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনা, সাবেক সামরিক উপদেষ্টা তারেক আহমেদ সিদ্দিকীসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ফয়েজ আহমেদের ছেলে ডা. হাসানুল বান্না চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে এ অভিযোগ দাখিল করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।

২০১৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. ফয়েজ আহমদকে নিজ বাসায় গুলি করে হত্যা করে র‍্যাব। হত্যার পর তাকে বাসার ছাদ থেকে নিচে ফেলে দেওয়া হয়। গভীর রাতে শহরের উত্তর তেমুহনী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের স্ত্রী মারজিয়া ফয়েজ জানান, রাত ১২টার দিকে র‍্যাবের একটি দল গেট ভেঙে বাসায় ঢুকে বিভিন্ন রুম তল্লাশি চালায় তারা। এক পর্যায়ে ডা. ফয়েজকে তাদের সঙ্গে বাসার ছাদে যেতে বলেন। এ সময় তিনি ছাদে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, আমি অসুস্থ। তাই সিঁড়ি বেয়ে ছাদে যেতে কষ্ট হবে। আমাকে নিতে হলে থানায় নিয়ে চলেন। এ সময় তারা ফয়েজকে আটক করে জোরপূর্বক বাসার ছাদে নিয়ে প্রথমে গুলি করে। পরে সেখান থেকে নিচে ফেলে দেয়। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে গভীর রাতে হাসপাতাল এলাকায় তার মরদেহ পড়ে আছে বলে আমরা খবর পাই।

এ ব্যাপারে সদর হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. জয়নাল আবেদিন জানান, রাত ১টা ৪০ মিনিটে কে বা কারা হাসপাতালের নিচে তার মরদেহ ফেলে চলে যায়। মরদেহের মাথায় ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এদিকে রাতেই ডা. ফয়েজ আহমদের হত্যার কথা শহরসহ আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। প্রিয় নেতার নিহতের কথা শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন দলের নেতাকর্মীরা। পরে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের পর বাদ জোহর শহরের উত্তর তেমুহনী লিল্লাহ জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে নামাজে জানাজা শেষে ওই মসজিদের পাশে তাকে দাফন করা হয়।

এই হত্যাকাণ্ডের মূল নায়ক নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের মূল পরিকল্পনাকারী র‍্যাব কর্মকর্তা তারেক সাঈদ বলে অভিযোগ করা হয়। তাকেও আসামি করা হয়েছে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!